আজ ২৬ মে,রবিবার দ্বিতীয়বারের মত লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার গুড মর্নিং বাংলাদেশ নামে ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’, সিডনির মিন্টোস্থ রন মোর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে মূল আয়োজক হিসেবে ছিলো ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশি কমিউনিটি সিডনি। এই আয়োজনে সকালের নাস্তা সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল।সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনসমাগম ঘটে অনুষ্ঠান স্থলে।
বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের সভাপতি রাহেলা আরেফিন তার স্বাগত বক্তব্যে গুড মর্নিং বাংলাদেশ এর মূল আয়োজক ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির মরহুম ডঃ আবদুল হকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, লায়লা হক ও ডা. আয়াজ চৌধুরীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন সাবরিনা হোসেন।উপস্থিত দর্শকের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পবেল টাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল মাসুদ, রুবাইয়াৎ হক সাথী, কাম্বারল্যান্ড সিটি কাউন্সিলর ড. সাবরিন ফারুকী, জেনি নিউয়েন, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, মো শফিকুল আলম, আশিকুর রহমান অ্যাশ, শামীমা আলমগীর, Aussie NSUsers Association তাজিম তারেক, আয়োজনের আহ্বায়ক রওশন জাহান পারভীন, মিলি ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়া, ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনি, জন্মভূমি টেলিভিশনের ইভেন্ট ডিরেক্টর কাজী রুবেল আলম এবং গুড মর্নিং বাংলাদেশ সকালের নাস্তার চিরায়ত পদগুলো পরিবেশন করেন।এর মধ্যে গরম পারটা, গরুর মাংস, ভাজি, আলুর দম, সুজির হালুয়া, পুরি, সিংগারা, সমুচা, লাবরা, চটপটি বিভিন্ন পদের মিষ্টি ও পিঠা ইত্যাদি তারা তৈরী ও বিক্রি করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবছর ক্যান্সার রোগে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করে। প্রয়োজনীয় অর্থ ও সেবার সংকটে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়।
সকালের নাস্তার এই আয়োজনের বিক্রয়লব্ধ সম্পূর্ণ অর্থ নিউ সাউথ ওয়েলস এর ক্যান্সার কাউন্সিল তহবিলে জমা করা হয়। এই অর্থ ক্যান্সার গবেষণা, শিক্ষা, প্রতিরোধ এবং রোগীর সহায়তা পরিষেবা গুলিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত সকলকে সহায়তার জন্য ব্যয় করা হবে।
সিডনিতে ক্যান্সার রিসোর্স ডেভেলপমেন্টকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার লক্ষেই গুড মর্নিং বাংলাদেশ নামে ‘বিগেষ্ট মর্নিং টি’ কর্মসূচিটি ২০০১ সালে শুরু করেছিলেন মরহুম ড. আব্দুল হক। ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশি কমিউনিটি সিডনি এর ব্যানারে ও বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় পরিচালিত হয় এই কার্যক্রম। এতে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছাড়াও অনেক অস্ট্রেলিয়ানরাও যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সর্বোতভাবে সাফল্যমন্ডিত করতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়াকে সহায়তা করে বাংলা হেয়ার, জন্মভূমি টেলিভিশন ও সিডনি প্রতিদিন।
Leave a Reply