বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পথে বিসিবি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪
  • ১৩২ Time View

গেল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হাই পারফর্মম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম। দেশের ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের রাডারে আসার বড় সুযোগ বলা চলে একে। গতকাল বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এইচপি ইউনিটের প্রধান নাইমুর রহমান দুর্জয়। সেসময়ই বোর্ডের এই পরিচালক জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টুর্নামেন্টের রূপরেখা নিয়ে সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি দল, পাকিস্তানের একটি দল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ ফ্র‍্যাঞ্চাইজিগুলোর ৪-৫টি দল থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে হবে সেটি। আমাদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। আশা করছি আমরা সেটিতে অংশগ্রহণ করব। একইসঙ্গে সেখানে দুটি চার দিনের ম্যাচ, তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলারও প্রস্তাব আছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে। এটার আলাপ চলছে।’

এইচপি ইউনিটের হেড দুর্জয়। এবারের এইচপি ক্যাম্প নিয়ে বিশেষভাবে জানতে চাইলে বললেন, ‘এটা তো রেগুলার একটা প্রোগ্রাম। প্রতি বছর ৪-৬ মাসের প্রোগ্রাম হয়। এর ভেতরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, স্কিল ট্রেনিং হয়। কিছু রেসিপ্রোকাল ট্যুর হয়, যাদের সঙ্গে আমাদের এমওইউ আছে। সেসব দেশের সঙ্গে যে সিরিজ হয় এর বাইরে এবার নতুনত্বের কথা বললে এবার বিদেশ সফরের সঙ্গে একটি টুর্নামেন্টের কথা আলোচনা চলছে।

এইচপির কার্যক্রম শুরু হলেও এখনও প্রধান কোচ নেই। দুর্জয় জানালেন সেরা কোচকেই খুঁজছেন তারা, ‘আমাদের প্রধান কোচ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা সম্ভাব্য সেরা কোচ আনার চেষ্টা করছি। বেশ কয়েকজন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাদের কখন পাওয়া যাবে সেটিও আমাদের দেখতে হচ্ছে। একারণে একটু সময় লাগছে। তবে শিগগিরই হয়ে যাবে।’
এইচপির কার্যক্রম নিয়ে দুর্জয় আরো বলেন, ‘এইচপিকে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামার আগে শেষ ধাপ হিসেবে ধরে থাকি। এখান থেকে যেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে যায়৷ বিভিন্ন সময় প্রায় ১০-১১ জন ক্রিকেটার এইচপির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম রাখা হয়েছে। মিডিয়া হ্যান্ডলিং, এন্টি করাপশন ইউনিটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জাতীয় দলে খেলার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন হয়, সেসব খুঁজে খুঁজে এখানে রাখার চেষ্টা করেছি। ’

‘অনূর্ধ্ব-১৯ পার করে আসার পর জাতীয় দলে ঢোকার আগপর্যন্ত সময়ে থাকা ক্রিকেটারদের আমরা এইচপির জন্য বাছাই করি। এখানে বয়সের একটা ব্যাপার আছে, ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে থাকে। কারণ ইমার্জিং কাপ বা এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে গেলে বয়সের একটা ব্যাপার থাকে। ’- বলেন দুর্জয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category