সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

বাতাসে আগুনের তাপ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫৮ Time View

কয়েক দিন ধরে সকাল থেকেই বাড়ছে রোদের তেজ। দুপুর ১২টার দিক থেকে মাথার ওপর খাড়াখাড়ি যে তাপ দিচ্ছে সূর্য তাতে পথঘাট সব আগুনের মতো গরম হয়ে উঠছে। পায়ের তলা থেকে যেন জ্বলন্ত আগুনের তাপ বের হচ্ছে। রিকশায় বা গাড়িতে চড়লে সে তাপ সরাসরি মুখে এসে লাগছে। ঢাকাসহ সারা দেশে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। অসহনীয় এ গরমের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ওই জেলা। চুয়াডাঙ্গায়ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দাবদাহে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকায় আজ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করেছে।

দাবদাহে স্বস্তি পেতে শরীর-মন যখন ছায়া খোঁজে, তখন রুটি-রুজির জন্য বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার হচ্ছেন রিকশা ও ভ্যানচালকরা।
যাত্রী নিয়ে মগবাজার থেকে মালিবাগ রেলগেট হয়ে রামপুরা পর্যন্ত এসেছেন রিকশাচালক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, এত গরমে জীবন আর চলে না। দেখেন না ঘামে পুরো শরীর ভিজে গেছে। যাত্রীও খুব কম, খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আমার মতো যারা শ্রমজীবী তাদের গরম-শীত-বৃষ্টি কী? প্রতিদিন বের হতে হয়। রোদে পুড়ে যাচ্ছি, শরীর বেয়ে ঘাম পড়ছে, তবুও যাত্রী টানতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে যাত্রী না থাকলে কোনো গাছ পেলে তার নিচে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছি। কাজে বের না হলে তো পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category