জন্মদিনে অযোধ্যা মন্দিরে রামলালার ললাটে তিলক আঁকলেন সূর্যদেব। ছবিতে যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে তা দুপুর ১২ঃ১৫ মিনিটে রামলালার কপালে তিলক আঁকলো সূর্য্য।একাধিকবার ট্রায়ালের পর মহা মস্তকাভীষেকের জন্য নিদির্ষ্ট করা হয়েছিল এই সময়।গত ২০ বছরে পৃথিবীর গতিবিধি অনুযায়ী অযোধ্যার আকাশে সূর্য্যের সঠিক দিক নির্ধারন করেন বিজ্ঞানীরা।এর পর মন্দিরের উপরের অংশে স্হান নির্ধারন ও কোন বসানো হয় ।দীর্ঘ আলোচনার পর রুরকীর সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিউটের বিজ্ঞানীরা রামলালার কপালে সূর্য্যতিলক সাজানের উদ্যোগ নেন।সূর্য্যের রশ্মি রামলালার কপাল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কোনো বিদ্যূত ব্যবহার করা হয়নি।ব্যবহার করা হয়েছে অপটো মেকানিক্যালের আওতায় থাকা উচ্চমানের আয়না ও লেন্স। ১০ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টায় ৬.৮ সেন্টিমিটার প্রস্থের তিনটি লেন্সের মধ্যে দিয়ে এই রশ্মি প্রতিফলিত হবে রামলালার কপালে।
সূর্য্যরশ্মি প্রথমে পরে মন্দিরের উপরের স্তরে বসানো আয়নায় সেই রশ্মি প্রতিফলিত হয় দ্বিতীয় স্তরে রাখা আয়নায়।আর এর পরই তৈরী হয় রামলালার কপালে তৈরী হয় ৭৫ মিলিমিটারের তীলক রশ্মি।যা প্রায় ৪ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।এই দুর্লভ ‘সূর্য তিলক’ দৃশ্যমান করা হয়। আজ রামনবমী তিথিতে দুপুর ১২টায় প্রায ৪মিনিট ধরে এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন কোটি কোটি ভক্ত। ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়াতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এই মাহেন্দ্রক্ষণ।
আড়াই হাজার বছর স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিয়ে নির্মিত অনিন্দ্য সুন্দর রাম মন্দিরে ব্যবহার করা হয়নি কোনো লোহা-সিমেন্ট-চুন।
প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান, বাস্তু ও স্থাপত্য বিদ্যার এক অপূর্ব সমাহার এই রাম মন্দির।
এটি শুধুমাত্র ৩৬৬ দিনে একবার প্রতিবছর রাম নবমীতিথিতে রামলালার কপালে এই সূর্যতিলক আঁকা হবে।
ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এতো নিখুঁত গননা করে মন্দিরের ছাদে সামান্য ছিদ্র টি করেছে তা অবাক হচ্ছে বিশ্ব।। এবং এটি হাজার বছর একই নিয়মে প্রতি বছর রামনবমী তে শুরু সূর্যের আলো পড়বে রামলালার কপালে।
Leave a Reply