বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করা হলেও রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন করা হয় না। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার পাশাপাশি রাজাকারদের তালিকাও প্রণয়ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়ীয়া ও দক্ষিণাঞ্চল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাছিম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি যারা এই যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানী করেছে, সেসব কুখ্যাত ইতিহাসও তুলে ধরা উচিত। হোক সেসব পাকিস্তানি দোসরদের ইতিহাস, তবুও সেসব ইতিহাস জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখককে যারা অনুপ্রাণিত করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইলো। এ পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দেশের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে। ইতিহাস সংরক্ষণের যে দাবি এসেছে, তা বাস্তবায়ন করতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা প্রয়োজন।
বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, যারা দেশের মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, যারা এখনো পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করছে, তাদের ইতিহাসও আগামী প্রজন্মের জানা উচিত। যতদিন বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা জ্বলজ্বল করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো চলছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, চালিয়ে যাবো।
Leave a Reply