শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

সিডনিতে বাতিঘর প্রকাশণীর প্রকাশক দীপঙ্কর দাসের সাথে প্রশান্তিকার আড্ডা আয়োজন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৪৫ Time View

গতকাল ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘর প্রকাশনার প্রধান দীপঙ্কর দাসের সাথে সিডনির গুণীজনদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ রেস্টুরেন্টে ইফতার এবং ডিনারের আয়োজন করেন প্রশান্তিকা বইঘরের পক্ষ থেকে আতিকুর রহমান শুভ।
মুলতঃ এটি একটি গুনীজনদের সাথে দীপঙ্কর দাসের আড্ডার আয়োজন হলেও উপস্থিত সকলেরই জানার আগ্রহ ছিল বাতিঘরের এই তুমুল জনপ্রিয়তা এবং এর শুরুটা কিভাবে হলো তা নিয়ে।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় গামা কাদিরের সম্ভাষন বক্তব্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।এই পর্বে প্রথমেই দীপঙ্কর দাস এবং বাতিঘরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন, গুণীজন , কলামিষ্ট অজয় দাশগুপ্ত বাতিঘর ও প্রকাশক দীপঙ্কর দাশকে নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেন।

এর পরপরই উপস্থিত সকলেই দীপঙ্কর দাশের কাছে বাতিঘর বিপনী এবং তার এই প্রকাশনার পথচলার সময়কাল সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেন, তার মধ্যে এই বাতিঘরের শুরু, প্রকাশনার শুরু কিভাবে, নতুন বইয়ের প্রকাশ কিভাবে করা যায় এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখকদের কিভাবে বাংলাদেশের প্রকাশকরা বই প্রকাশে সাহায্য করতে পারেন ইত্যাদি উলেক্ষযোগ্য।

দীপঙ্কর দাশ এইসব প্রশ্নের উত্তরের শুরুতে তিনি সিডনির এমন গুণীজন আড্ডায় উপস্থিত হতে পেরে খুব আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান।তিনি আরো বলেন,”অন্যান্য দেশের চেয়ে সিডনিতে পাঠকের সংখ্যা বেশি।”
তিনি বাতিঘরের শুরু নিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের চেরাগী মোড়ের ১০০ স্কয়ার ফিটের একটা ছোট্ট দোকানে বাতিঘর লাইব্রেরীর জন্ম” সেই থেকে শিল্পী – সাহিত্যিকদের আড্ডার প্রিয় স্থানটিতে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল ।যা এখনো বর্তমান। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে এর যাত্রা শুরু হয়।২০০৯ সালে প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে বাতিঘর আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট এবং রাজশাহীতে বাতিঘরের শাখা রয়েছে।
তিনি প্রশ্নত্তোর পর্বে আরো বলেন লেখার জন্য ভালো সময় বা প্রচুর পড়াশোনা করে লিখতে হবে এমন কোনো বিষয় নেই।লেখা শুরু করাটাই জরুরী।
তিনি প্রবাসীদের সহজে ভালো বই সংগ্রহ করার বিষয়ে বলেন যদি সুযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকে কয়কজন পাবলিশার্স এসে যদি একদিন বা দু দিন বই মেলার মত কিছু করতে পারে তবে তা প্রকাশক এবং পাঠকদের জন্য ভালো হতো। প্রবাসীদের প্রকাশনা সম্পর্কে বলেন লেখকের কখনোই নিজের অর্থ খরচ করে বই প্রকাশ করা উচিত নয়।ভালো মন্দ যাহাই হোক তা প্রকাশকদের সহায়তা নিয়ে প্রকাশ করাই ভালো।ঘড়ির কাঁটা দ্রুত ঘোরায় নৈশভোজের মাধ্যমে আড্ডার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

উপস্থিত সকলের মতে প্রশান্তিকা বইঘরের গুনীজনদের নিয়ে এমন আড্ডার আয়োজন নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category