গত ২৫শে ডিসেম্বর সংগঠনটি প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবছর বড়দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলো সিডনির অদূরে ঈগেলভেলের মা মেরী ইমাকুলেট চার্চ এর হলরুমে। প্রসংগত উল্লেখ্য যে সংগঠনটি বিগত ৩০ বছর যাবত খৃষ্ট
যীশুর জন্মদিন সহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
এবারের বড়দিনেও তারা সাড়ম্বরে ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে দিনটি পালন করেছে। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ন্যান্সি লীনা ব্যারেল। সংগঠনের সভাপতি এলেক্স তুহিন গেইনের স্বাগত বক্তব্যের পরে পাষ্টর এলেন যোসেফের পরিচালনায় প্রাথমিক পর্বে প্রার্থনা সংগীত, কীর্তন ও পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করে শোনানো হয়। বাংলাদেশ থেকে আগত চার্চ অব বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিশপ পল শিশির সরকার বিশ্বমানবতার বিকাশে মহান যীশুর অবদান ও আমাদের করনীয় সম্পর্কে উপদেশ প্রদান ও সবার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
সাংস্কৃতিক পর্বটি উপস্থাপনা করেন সীমা মজুমদার ও তাকে সহযোগিতা করেন জুলিয়েট রয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে আবহমান বাংলা সংস্কৃতির নাচ, গান ও শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন। বিশেষ আকর্ষণ ছিল জুলিয়েট পপি শাহ’র পরিকল্পনা ও পরিচালনায় জামদানি শাড়ি পরিধানের বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমী ফ্যাশন শো। এতে শিশু, কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্করা অংশগ্রহণ করেন। নৃত্য পরিবেশন করেন অর্চি ঢালী সহ অনেকে। সংগীত পরিবেশন করেন সমীর রোজারিও। এবারের অনুষ্ঠানে
আগত সোসাইটির হিতাকাঙ্খী- কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের অনেকেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন ন্যান্সী লীনা ব্যারেল। এরপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আসেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ডেইজি মিঠু বিশ্বাস। প্রতিবছরের মতো হার্বাট বিশ্বাসের সম্পাদনায় , লরেন্স ব্যারেলে অলংকরণে ও এডওয়ার্ড চৌধুরীর সহযোগীতায় এবারও ম্যগাজিন “জল” প্রকাশ করা হয়। লাইট, মিউজিক ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাহাদী, থিওফিল বৈদ্য, অনাদি বিশ্বাস, রথীন্দ্র নাথ ঢালী, লিন্ডা মন্ডল, এ্যন্জেলিনা ঢালী, চেরী সরকার, তাপস কর, রোমেল পল , দীপা বিশ্বাস, ইন্দিরা ইরা, জেনেট শিল্পী বৈদ্য, বাবু গ্যাব্রিয়েল বিশ্বাস।
শিশুদের মাঝে সান্টা ক্লজ উপহার নিয়ে আসেন এবং সান্তার ভুমিকায় ছিলেন এালেন যোসেফ গমেজ।
হল ব্যবস্হাপনায় বনি গিলবার্ট বৈদ্য, জেসি ফ্রান্সিস, দীপক কর্মকার, মিলন সরকার, সাইলাস শুসেন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন
দেবব্রত সরকার। হল পরিসজ্জায় ছিলেন ডেইজী মিঠু বিশ্বাস, এডোয়ার্ড চৌধুরী ও মানিক বাড়ৈ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সান্ধ্যকালীন চা, পিঠা, কেক ও নৈশভোজের আপ্যায়ন করা হয়।
তিন দশক ধরে বাংলাদেশ খৃষ্টান ফেলোশিপের এই আয়োজন বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে সম্পৃতি ও সৌহার্দ্য স্থাপন করে আসছ