অযথা বেশি ব্যাটারি খরচ করা বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল, যার ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যাটারি খরচের সঠিক কারণ জানতে সহায়তা করবে মার্কিন সার্চ জায়ান্টটি।
সম্প্রতি ‘অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ব্লগে’ এক পোস্টে গুগল এই সমস্যার সমাধানের কথা জানিয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, গুগল নতুন এক ‘মেট্রিক’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে, যা অ্যাপ ডেভেলপারদের ব্যাটারি ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে সাহায্য করবে।
নতুন নিয়মে কোনো ডেভেলপার যদি ধারাবাহিকভাবে গুগলের ব্যাটারি ব্যবহারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে, তবে প্লে স্টোরে ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠাবে গুগল। এই নিয়মগুলো ২০২৬ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
এই নতুন মেট্রিকটি বিশেষভাবে নজর রাখবে ‘ওয়েক লক’-এর ওপর। যখন বেশি ব্যাটারি খরচ করা কোনো অ্যাপ ফোনকে ‘স্লিপ মোডে’ যেতে দেয় না এবং স্ক্রিন বন্ধ থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চালাতে চায়, তখন এই ‘ওয়েক লক’ ঘটে। গুগল বলছে, ব্যাটারি খরচের একটি প্রধান কারণ ওয়েক লক।
এজন্য কোম্পানিটি এমন এক সীমা নির্ধারণ করেছে, যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপের গ্রহণযোগ্যতা ঠিক করে দেবে। এই সীমা অনুসারে, কোনো ‘ব্যবহারকারীর সেশন যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ঘণ্টার বেশি ওয়েক লক ধরে রাখে, তবে সেটিকে অতিরিক্ত হিসেবে ধরবে’ গুগল।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে, বিশেষ করে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড প্রক্রিয়াটি যদি ‘ব্যবহারকারীকে সুবিধা দেয়’, যেমন— অডিও প্লেব্যাক বা ব্যবহারকারীর ডেটা ট্রান্সফারের বেলায়।
যদি কোনো ডেভেলপার ওয়াক লকের মূল সমস্যা ঠিক না করে, তবে তাদের স্পষ্ট সতর্কবার্তা দেবে গুগল। প্লে স্টোরের লেবেলে তখন লেখা থাকবে, এই অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যকলাপ বেশি হওয়ায় ব্যাটারি খচর বেশি হতে পারে।
এই সতর্কবার্তা ব্যবহারকারীদের নতুন কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত রাখতেও সাহায্য করবে। কিছু ক্ষেত্রে গুগল আরও একটি কঠোর পদক্ষেপ নেবে, যেখানে সমস্যাযুক্ত বিভিন্ন অ্যাপকে প্লে স্টোরে নির্দিষ্ট সার্চ বিভাগে আর দেখাবে না তারা।
সূত্র: এনগ্যাজেট