বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের আদেশ স্থগিত

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৫ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে দেশটির একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক জন কফেনর এই সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারক জন কফেনর আদালতে শুনানির সময় বলেন, এটি স্পষ্টভাবেই একটি অসাংবিধানিক আদেশ। আদালতে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন স্থগিতের ফলে ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেই বেশকিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে অন্যতম ছিল নথিপত্রহীন অভিবাসী সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারসংক্রান্ত একটি আইন বাতিল। যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে দেশটিতে জন্ম নেওয়া সবার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।

ট্রাম্প বিচারকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। এই নির্বাহী আদেশের পক্ষে লড়াই করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও। নির্বাহী আদেশটি সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই আদেশে মার্কিন সংবিধানের ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, ২টি শহর এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় সরব হয়ে ওঠে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন আদালত। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আইনের আশ্রয় নেওয়া অঙ্গরাজ্যগুলো।

ওয়াশিংটন রাজ্যের আইনজীবী লেন পোলোজোলা আদালতে যুক্তি দিয়ে বলেন, যে ট্রাম্পের আদেশ জাতিকে একটি কালো অধ্যায়ে ফিরিয়ে আনবে। পাশাপাশি ট্রাম্পের এ আদেশের নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশটি আমেরিকার সঙ্গে যায় না।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই অভিবাসী- জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল, মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা, জাতীয় সীমান্তে জরুরি অবস্থা ও দক্ষিণ সীমান্ত সুরক্ষাসহ বেশকিছু আলোচিত আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category