৪ মার্চ সোমবার সিডনির রকডেলের রোজ গার্ডেন ফাংশন সেন্টারে একুশে একাডেমীর আয়োজনে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, সাংবাদিক আনিসুল হকের জন্মদিন পালন করা হয়েছে।এটি ছিল একুশে একাডেমী, অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত “মিট এন্ড গ্রিট” অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আনিসুল হক’কে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সঙ্গীতশিল্পী অমিয়া মতিন। লেখকের সাথে আলোচনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন ডঃ শাখাওয়াৎ নয়ন। এই পর্বটি ছিল মূলতঃ লেখকের কর্ম ও ব্যক্তি জীবনের নানা জানা অজনা বিষয় নিয়েই প্রশ্নত্তোর পর্ব।সঞ্চালকের প্রতিটি প্রশ্নই তিনি প্রাণবন্ত এবং আনন্দময় পরিবেশ তৈরী করে উত্তর দেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিডনির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক সহ সকলের প্রশ্নের উত্তরই তিনি দেন অত্যন্ত খোশ মেজাজে।
সঞ্চালক ও অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের সকল প্রশ্নই ছিল লেখক পাঠক কেন্দ্রিক। এতে বর্তমান সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তিজীবন ও লেখকের লেখা বইয়ের পটভূমি উঠে এসেছে।দর্শকদের মধ্যে থেকে সিডনির জনপ্রিয় লেখক আশীষ বাবলুর প্রশ্ন ছিল,”মোবাইল ফোন হাতে নিলেই ফেইসবুকের নানা রকমের পোষ্ট চলে আসে, সেসব দেখতে গিয়ে কখন যে সময় শেষ হয় টের পাওয়া যায়না। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে বই পড়ার জন্য সময় বের করা যায় কিভাবে, এর কোন সমাধান আছে কিনা?”
এছাড়াও নৃত্যশিল্পী এবং আমাদের কথা সংগঠনের সভাপতি পূরবী পারমিতা বোস কথা সাহিত্যিক আনিসুল হককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশ্ন করেন,” আপনি একাধারে সাংবাদিক, কবি, লেখক, কথাসাহিত্যিক, প্রকৌশলীসহ আপনার অনেক পরিচয়।এছাড়াও আপনার লেখা গান নাটক সিনেমা অনেক জনপ্রিয় হয়েছে।ভবিষ্যতে কি আপনার নাটক বা সিনেমা পরিচলনা করার কোনো ইচ্ছে আছে কি না?
এই পর্বের শেষভাগে সঞ্চালক আনিসুল হকের কাছে জানতে চান, তার নিজের কোন প্রশ্ন আছে কিনা। উত্তরে আনিসুল হক বলেন, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে লেখক কবিদের জন্য পাঠকের এতো ভালবাসা থাকে কেন!
এর পরের পর্বে ছিল জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও কেক কাটা ।প্রথমেই ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আমাদের কথা নিউজ পোর্টালের প্রধান সম্পাদক পূরবী পারমিতা বোস ও নির্বাহী সম্পাদক মঞ্জুশ্রী মিতা। একে একে সবাই লেখককে শুভেচ্ছা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশিষ্ট ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সিডনির সমাজসেবক গামা আব্দুল কাদির, একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, সাধারন সম্পাদক রওনক হাসান, সাবেক সভাপতি নেহাল নেয়ামুল বারীসহ উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের বিশেষ কেক কাটেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনায় সঞ্চালক ডঃ শাখাওয়াৎ নয়নের বলা রবীন্দ্রনাথের সেই চির চেনা উক্তিটি “শেষ হইয়াও হইলো না শেষ” যেন উপস্থিত সকল অতিথিদের মনেও বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো।
Leave a Reply