যদ্দুর মনে পড়ে আমরা তো সেই ছোট্টবেলা থেকেই মোচা – মাছ মানে শাক- পাতা সবই খেয়েছি দুপুরের ভাতের পাতে!!
এখনকার বাচ্চাদের মত হেন খাবো না, তেন খাবো না করেছি বলে মনে হয় না!!
তাছাড়া তখনকার দিনে যৌথ পরিবারে বাস করে অত শত করার সময় সুযোগই বা পাবে কোত্থেকে?
সেসময় সব ঘরে নিত্যদিন এত মাছ মাংসের চলও ছিলনা বলেই মনে হয়!
প্রায় সংসারে দু’ একজন বয়সী মানুষ থাকতো যারা মাছ মাংস দূরে থাক আমিষও খেতো না।
তাই এত এত আমিষ- নিরামিষের বাছ বিচারের নিয়ম করে আবার বাচ্চাদের জন্য আলাদা পাট পট্টি করবেই বা কোখন!
এখন বাচ্চাদের হাজারো বায়নাক্কা, সব্জি তো দূরের কথা মাছেরও ধারে কাছে যেতে চায় না!
ঘুরে ফিরে এক চিকেন পেয়ারা…..
আমিও নাছোড়বান্দা মাঝে মধ্যে হাতে ফোন ধরিয়ে ডাল আর মাছ ভাজা মুখে গুঁজে দেই।
তবে তৈলাক্ত মাছ তাদের বড় অপছন্দের!!
চিতল মাছের মুইঠা আবার বেশ ভালো খায় কিন্তু সেদিন একটা খুব পাতলা ফিনফিনে কাঁটা মুখে পেয়ে সেই চিৎকার মা এটা তো মাছের কাঁটা তাহলে তুমি যে বললে চিকেন কিমা দিয়ে বানিয়েছো?
আর খাব না এই মুইঠা…..
আজ অনেক সাবধানে কাঁটা বেছে অন্য সাইজে কেটে তারপর রান্না করেছি।
যখন ভেজে তুলছিলাম দৌড়ে এসে বলল একটা দাও তো দারুন স্মেল পাচ্ছি……
ভাজা- ঝোল দুটোতেই আমদের সবারই জব্বর ভূরিভোজন হলো!!
Leave a Reply